এহানে গোয়ামারা দিতে আইছেন

নানা-নাতী দু’জনই একটি বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছে। যাওয়ার আগে নানা নাতীকে উপদেশ দিচ্ছে, ”দুষ্টামী-ফাইজলামি একেবারেই করবিনা, আর কথা কম কবি।” নাতী খুব  ভালো করে সব বুঝে নিল।

বিয়ে বাড়ি যাইতে হলে বাসে করে কিছু দূর যেতে হবে, তাই নানা আর নাতী রাস্তার পাশে বাসের জন্য দাড়িয়ে আছে। একটা বাস আসতে দেখে নাতী হাত দিয়ে ইশারা করে থামানোর জন্যে। বাসের হেলপার আবার একটু ফাজিল ধরনের। সে বাসের বাইরে এক হাত বের করে, সেই হাতের বুড়ো আঙ্গুল (বৃদ্ধাঙ্গুল) নাড়াতে থাকে। দেইখা তো নাতীর মাথা হট। শালায় করল কি? নাতী আবার নানার পেছনে, নানা যাতে না দেখে, এমন ভাবে বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল আর তর্জনীর মাথা দিয়া একটা বৃত্তের মত বানায়া, আরেক হাতের তর্জনী ঐ বৃত্তের মধ্যে বারবার ঢুকিয়ে, বাসের হেলপারকে দেখায় দিল।

 হেলপার গাড়ি থামাইয়া নাতীরে মাইর শুরু করছে। নানা ক্ষেইপা যাইয়া বলতেছে, “আরে আপনে আমার নাতীরে মারেন ক্যা?” হেলপার বলে, “আপনের বেয়াদব নাতী আমারে এইটা দেখাইছে। কত্ত বড় সাহস, এত টুকু পোলা হইয়া আমারে গোয়ামারা দেখায়।” নানা এইবার নাতীকে মারতে যায়, নাতী বলে উঠে, “সে আমারে বুড়া আঙ্গুল দেখাইল কেন?” হেলপার সাথে সাথে উত্তর দেয়, “আমি বুঝাইছি যে, বাসে সিট নাই।” সাথে সাথে আবার নাতী বলে যে, “আর তাই আমিও বুঝাইছি, সমস্যা নাই আমরা ঠেলতে ঠেলতেই ঢুইকা যামু।

আর তো কোন কথা এখানে থাকে না। যা হোক এর পর তারা বিয়ে বাড়ি পৌছে খাওয়া দাওয়া করে। খাওয়ার পর নাতী একটু হাটা-হাটি করতেছে। হাটতে হাটতে দেখে এক ভদ্র লোক  চেয়ারে বসে পেপার পড়তেছে। নাতীর মনটা একটু কথা বলার জন্য আনচান করে ওঠে একটা কিছু করার জন্য। কিন্তু সাহস পায় না। একটু পর নাতী কথা না বলে লোকটার পেপারের সামনে নিজের হাতের ২ আঙ্গুল দিয়ে মেয়েদের যোনীর মত আকৃতি বানিয়ে দোলাতে থাকে। কিন্তু লোকটি কিছুই বলে না। নাতীও সাহস পেয়ে এবার এক হাত দিয়ে আর এক হতের কুনুই এর কাছে ধরে ছেলেদের ধোনের মত নাড়াতে থাকে। ভদ্রলোক এটাও সহ্য করে চুপ করে থাকে। নাতী এবার যেন একটু অস্থির হয়ে বাসের হেলপার কে দেখানো জিনিসটা দেখায়। এবার ভদ্র লোক রাগে অস্থির হয়ে নাতীকে ধরে পেটানো শুরু করেন। আবার নানা ছুটে এসে কি ব্যাপার জানতে চান। ভদ্রলোক সব খুলে বলেন। নানা নাতী কে বলেন,  “এবার কি বলবি?” নাতী অনেক কষ্টে মুখ খুলে, “দেখলাম লোকটি বইসা পেপার পড়তেছেন। একটু কথা কইলে মন চাইল। কিন্তু কথা কইলে যদি ডিসর্টাব হয় তাই ইশারা কইরা কইলাম, “আপনে কি ভোদা অলা গো মানে কণে পক্ষের লোক?” দেহি হ্যায় কিছুই কয় না। তারপর কইছি তাইলে কি ধোন অলা গো মানে বর পক্ষের লোক? তাও কিছু কয় না। এহন হ্যায় কণে পক্ষও না বর পক্ষও না, তহন রাগ কইরা কইছি তাইলে কি আপনে এহানে গোয়ামারা দিতে আইছেন? আমার কি দোষ কও?”